যারা E-Commerce অথবা F-Commerce করার কথা ভাবছেন তারা Corporate Website Development নিয়ে বেশ কিছু কমন জিজ্ঞেসা করে থাকেন যেমনঃ Need Corporate Website Development Expert অথবা ওয়েবসাইট ডেভেলপার দরকার। সবার মনে একটা কমন প্রশ্ন থাকে, যে একটি ওয়েবসাইট বানাতে কত টাকা লাগে? আজকে একজন ওয়েব ডেভেলপারের দৃষ্টিকোণ ও স্বল্প অভিজ্ঞতার আলোকে Outsource Website Development নিয়ে আলোকপাত করার চ্রেস্টা করবো। একটা ওয়েবসাইট বানাতে কত টাকা লাগে সেটি পাঠক এবং আগ্রহের ভিত্তিতে লেখাটি eCommerce Website Development কে কেন্দ্র করে লেখা হচ্ছে।
ওয়েবসাইট বানাতে কত টাকা লাগে? Corporate Website Development
আচ্ছা, eCommerce Website Development করতে ঠিক কত টাকা লাগে? এটার আসলে স্পেসিফিক কোন উত্তর দেয়া যায় না। Corporate Website Development এর জন্য ওয়েবসাইটের ধরণ, ফিচার, আকার, সার্ভার খরচ সবকিছুর উপর নির্ভর করে একটা ওয়েবসাইটের খরচ।
প্রথমত একটা eCommerce Website Design এর জন্যে প্রাথমিক ভাবে ডোমেইন – হোষ্টিং কিনতে হয়। ডোমেইন তো আমরা বুঝি নাম, আর হোষ্টিং হচ্ছে যেটাকে সোজা বাংলায় বলা যেতে পারে কিছু জায়গা কেনা যেখানে আমি আমার ফাইলগুলো রাখবো।
যারা এটা বিক্রি করে তাদের আমরা হোষ্টিং প্রোভাইডার বলি। একেক হোষ্টিং প্রোভাইডারের কাছে দামটা একেকরকম। পার্ফোমেন্সও একেকরকম। বাইরের Godaddy, Amazon Web Services বা দেশের প্রথম সারীর দিকের লোকাল সার্ভার থেকে শুরুর দিকের ভালো মানের হোষ্টিং প্ল্যান কিনতে গেলে যদি সেটা SHARED HOSTING হয়, তবে আপনাকে প্রতি বছর সর্বনিম্ম ৪ হাজার টাকা গুনতে হতে পারে। আর যদি Dedicated হয় সেক্ষেত্রে দেশের প্রথম সারীর দিকের লোকাল সার্ভার মাসিক ১০ হাজার সর্বনিম্ম প্যাকেজ থেকে শুরু হয় যেটা বছর শেষে দাঁড়ায় প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। প্রায় ক্লায়েন্ট SHARED HOSTING নিয়ে থাকে।
উপরের দুইটি প্ল্যানই দুই ধরণের হোষ্টিং প্ল্যানের সর্বনিম্ম দাম বললাম। তার মানে এর উপর সর্বোচ্চ কত হতে পারে আশা করছি আইডিয়া করতে পারছেন। এটা তো গেল শুধু্মাত্র সার্ভারের খরচ। এই সার্ভারের উপর আপনার অনেক কিছু নির্ভর করে। যেমন পার্ফোমেন্স নির্ভর করে। একই সময় কত ইউজার আপনার সাইটে আসলে আপনার সাইট সুন্দর ভাবে কাজ করবে।
সহজ ভাবে বলতে গেলে, ২ জিবি র্যামের একটা কম্পিউটার আর ৩২ জিবি র্যামের একটা কম্পিউটার দুইটার পার্ফোমেন্স কতটা আলাদা হবে সেটা নিশ্চয় আপনি আন্দাজ করতে পারছেন। আর দামের ক্ষেত্রেও নিশ্চয় দুইটার মধ্যে অনেক পার্থক্য থাকবে। তাই খুব কম দামের হোষ্টিং কিনে খুব বেশী ভালো মানের পার্ফোমেন্স আশা করা যায় না।
Corporate Website Development এর ডেভেলপার ফি
এবার আসা যাক Corporate Website Development এর জন্য ডেভেলপার ফি কেমন হওয়া উচিত। এই ফি নির্ভর করে চারটি পয়েন্টের উপর।
প্রথম পয়েন্টঃ যদি eCommerce Web Developer কোন CMS ব্যবহার করেন যেমন ওয়ার্ডপ্রেস, Joomla, Drupal তবে সেক্ষেত্রে তিনি তার ফি কিছুটা কম রাখেন। কারণ এখানে Web Design and Development এর জন্য থিম ব্যবহার করে কিছু কাজ সহজে করা যায়। এখানে কিছু জিনিস বিল্ট ইন পাওয়া যায়। তবে এই দিকে যে একদম কাজ নেই কথাটা ভুল। কিছু সময় থিম কিনতে হতে পারে। প্লাগিন কিনতে হতে পারে। এমনকি অনেক Full Stack Web Developer এখন ওয়ার্ডপ্রেসের মধ্যেই কোড করে।

দ্বিতীয় পয়েন্টঃ তিনি যদি কোন ল্যাঙ্গুয়েজ PHP, Python বা কোন ফ্রেমওয়ার্ক যেমন লারাভেল, ডট নেট দিয়ে করেন সেক্ষেত্রে দামটা তিনি একটু বেশী নেন। কারণ এক্ষেত্রে ডেভেলপারকে Front-end, Back-end, Database এ অনেক বেশী কাজ করতে হয়। আর এটাতে বেশ অভিজ্ঞতারও দরকার আছে।
তৃতীয় পয়েন্টঃ Web Content Developer এর অভিজ্ঞতা কেমন। একটা ভালো মানের আইটি বা অনেক বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন ডেভেলপার অবশ্যই এসব ব্যাপারে দক্ষ। তারা ভালো মানের একটা চার্জ করবে। যারা এখনো নতুন তেমন অভিজ্ঞতা হয় নি, তারা নতুন নতুন কাজ পাওয়ার জন্যে কিছুটা কম চার্জ করবে। এটাই স্বাভাবিক নিয়ম।
চতুর্থ পয়েন্টঃ তার সাথে আপনার সম্পর্ক কেমন। ডেভেলপার হয়তো নিজের ভাইকে ফ্রি তে একটা ওয়েবসাইট বানিয়ে দিতে পারে। আবার চাচাতো ভাই থেকে একটু বেশী টাকা নিবে। আর ক্লায়েন্ট থেকে আরো বেশী নিবে।
মাঝেমধ্যে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেখি ৩ হাজার টাকায় ওয়েবসাইট বানিয়ে নিন। এখন দেখুন, কেউ যদি সর্বনিম্ম ভালো মানের হোষ্টিং প্রোভাইডার থেকে SHARED HOSTING কিনে তবে এর দাম পড়ে ৪ হাজার টাকা। তবে কি ডেভেলপার ১ হাজার নিজে থেকে দেয়?
অথবা যদি ওয়েবসাইটের দাম ৮ হাজার টাকা হয় তবে কি ডেভেলপার মাত্র ৪ হাজার টাকা ডেভেলপার ফি দিয়ে ওয়েবসাইট বানিয়ে দিবে?
Corporate Website Development এর দামদর
তাহলে অবশ্যই বুঝতে হবে Corporate Website Development এর জন্সেয কিভাবে দামটা কমাচ্ছে। অনেক ভাবে সে দাম কমাতে পারে। সম্ভাব্য কিছু কারণ যেমনঃ
১) সে হয়তো আপনাকে যেন তেন একটা সার্ভার থেকে কম দামে হোষ্টিং কিনে দিচ্ছে। যে সাইটে আপনি আজকে ব্রাউজ করলে আগামীকাল গিয়ে কন্টেন্ট দেখতে পারবেন যেটা আসলে রাতারাতি করার মত কোনো কাজ নয়।
২) সে একদমই অনভিজ্ঞ Corporate Website Development এর ব্যাপারে। সে শুধুমাত্র থিম ব্যবহার করে সাইট দাড় করাতে পারে। আপনার নিজের ব্লগের বা ডিজাইন ওয়েবসাইট গঠনের জন্য একটি থিম (theme) ব্যবহার করতেই হবে। আপনার ব্লগ ও ওয়েবসাইটের পুরো সৌন্দর্যর (Style) এবং গঠন (Structure) এবং জন্য দায়ী একটি ওয়েবসাইট থিম। তাই, নিজের ব্লগের ডিসাইন ও সৌন্দর্যের জন্য আপনার একটি Premium WordPress Theme ব্যবহার করাটা অনেক জরুরি। এখন সে যদি Nulled Theme ব্যবহার করে আপনাকে সাইট বুঝিয়ে দিয়ে তার কাজ শেষ। এতে এক হাজার টাকা পেলেও নিজের লাভ ধরে বসে আছে।

৩) eCommerce Web Design Agency অনেকসময় Corporate Website Development এর ক্ষেত্রে কিছু হিডেন ফি রেখে দেয়, সেটা করছে কিনা। যেগুলো একবছর পর গিয়ে চার্জ করবে। যেমন ওয়েব হোস্টিং এর আজকাল প্রায় সব ধরণের কোম্পানি SSL Certificate হোস্টিং এর সাথেই ফ্রীতেই দেয়া হয়। কিন্তু, ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি যদি একটি ফ্রি SSL Certificate আপনাকে না দেয়, তাহলে একটি SSL Certificate আপনার কিনে নিতে হবে অবশ্যই।
৪) রিসার্চ করতে হবে তাদের উপর। আগে সার্ভিস দিয়েছে কিনা। কোনো ওয়েবসাইট বা ফেইসবুক পেইজ থেকে থাকলে সেটার রিভিও দেখা।
পরিশেষে একটা কথা বলবো। একজন eCommerce Web Developer দিয়ে একটা eCommerce Web Development করে দিয়ে দেওয়ার পরই আসল কাজ শুরু হয়। দেখা যায় সাইটে অনেক সমস্যা থাকে। সাইটের ইউজার এক্সপেরিয়েন্সের উপর নির্ভর করে পরিবর্তন আনতে হয়। সময়ের সাথে অনেক কিছু আপগ্রেড করার দরকার হয়। কোডে Error দেখা দেয়। আরো নানা সমস্যা। একটা সাইট বানানোর পর After Service অনেক বেশী থাকে।
তাই নিজেদের ব্যবসার জন্যে eCommerce Web Development করলে এমন কাউকে দিয়ে Corporate Website Development করিয়ে নিন যে আইটি লাইনে পড়ালেখা করা অথবা এসব কাজে সেলফ লার্নিং করে অনেক বেশী দক্ষ হয়েছেন। যে ডেটাবেজ, কোডিং নিয়ে এটলিষ্ট ভালো একটা ধারণা রাখে। যে সমস্যায় পড়লে সেটা সমাধান করতে পারবে। নিজে না পারলেও অন্তত তার আশে পাশের কারো এক্সপার্টের সাহায্য নিয়ে করতে পারবে। অনভিজ্ঞ বা এমন কাউকে দিয়ে কম টাকায় সাইট বানিয়ে নিলে লসটা আপনারই হবে। আজকে যদি টাকা না থাকে, টাকা জমিয়ে এক বছর পর বানিয়ে নিন। কোন সমস্যা নেই এতে।
মনে রাখেবন Quality Work Demands High Rate!
দারাজ বানাতে হলে দারাজের মতই টাকা খরচ করতে হবে। ইভ্যালী বানাতে চাইলে ইভ্যালীর মতই সার্ভার কিনতে হবে।
তাহলে বুঝলেন তো, নিজের ওয়েবসাইটটি সময় দিয়ে নিজে কষ্ট করে খোজ খবর নিয়ে বানালে কতটা কম খরচেই হয়ে যাচ্ছে। আশা করি আপনার প্রশ্ন “একটি ওয়েবসাইট বানাতে কত টাকা লাগবে?” এর উত্তর পেয়েছেন। যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে ব্লগের নিচে কমেন্ট করে জানান।
ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট এবং চাকরির পাওয়ার পদ্ধতি জানতে চোখ রাখুন আমাদের উয়েবসাইটে।
Source BD Job Solutions https://ift.tt/2ZAcUKQ
চাকরির খবর
Comments
Post a Comment